বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:রবিবারই বিজেপির ভার্চুয়াল সভা থেকে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। জানিয়েছিলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোনও তালিকা কেন্দ্রের কাছে পাঠায়নি রাজ্য। তাই কেন্দ্রীয় সহায়তা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের পরিযায়ীরা। শুধু পরিযায়ী শ্রমিকই নয়, কেন্দ্রীয় সাহায্য থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছিলেন নির্মলা। জবাবে সোমবার রাজ্যের হয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সমস্ত তথ্যই কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়েছে।’ এর পর তিনি কবে সেইসব তথ্য দিয়েছেন, তার দিনক্ষণও জানান। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। গরিব কল্যাণ যোজনার জন্য ভারতের ১১৫টি জেলাকে বাছা হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবাংলার একটিও জেলা নেই! এটা আমাকে আশ্চর্য করেছে। সমস্ত তথ্যই কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে। একবার নয়, দু’বার, তারিখও বলছি, ২৩ ও ২৫ জুন সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। হয় সেই চিঠির কথা তিনি জানেন না, বা কেউ তাঁকে বলেননি। কিংবা জেনেও তিনি ইচ্ছে করেই মিথ্যে বলছেন। আমাদের প্রশ্ন, তার পরও কেন রাজ্যের একটিও জেলাকে গরিব কল্যাণ যোজনার তালিকায় রাখা গেল না?’ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এই নজিরবিহীর আক্রমণের জবাবে অবশ্য এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বিস্মিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। মনে করা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে মঙ্গল বা বুধবার অর্থমন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হতে পারে।
রাজ্যের রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণেই বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে রবিবার অভিযোগ করেছিলেন নির্মলা। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্পেশ্যাল ট্রেনকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী করোনা এক্সপ্রেস বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন তিনি। এদিন সেইসব কথারও জবাব দিয়েছেন অমিত মিত্র। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক সাহায্য নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। দিনের পর দিন রাজ্যের জন্য চিঠি লিখেও করোনা মোকাবিলায় কোনও রকম সাহায্য করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।’ অমিতবাবুর অভিযোগ, ‘রাজ্যের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগই করা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে।’ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের তিনি জানান, দিল্লি থেকে অসত্য তথ্য দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যে অভিযোগ করে রাজ্যকে দোষ দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।